রাশিয়ার প্রেমে পড়ে গেছে বিশ্ব: পুতিনকে ফিফা
প্রকাশিত : ২০:৩৭, ৬ জুলাই ২০১৮
বিশ্বকাপের আয়োজক রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উদ্দেশ্য করে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, বিশ্বকাপের আয়োজক ‘রাশিয়ার প্রেমে’ পড়ে গেছে গোটা বিশ্ব। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রতি বিশ্ববাসীর নেতিবাচক মনোভাবেরও অবসান হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ফিফা প্রধান।
পুতিনের এবং ইংল্যান্ডের সাবেক ডিফেন্ডার রিও ফার্ডিনান্ড, ডেনমার্কের সাবেক গোলরক্ষক পিটার শেমিচেলসহ উপস্থিত সাবেক ফুটবল তারকাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ইনফান্তিনো এই মন্তব্য করেছেন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ক্রেমলিনের ওই বৈঠকে ইনফান্তিনো বলেন, ‘আমরা সবাই রাশিয়ার প্রেমে পড়ে গেছি। যারাই এখানে একবারের জন্য এসেছে তাদের সাবাই এখন দেশটিকে নতুন করে আবিস্কার করেছে। অনেকেই এ দেশটি সম্পর্কে কিছুই জানতো না।’
পশ্চিমাদের সঙ্গে তীব্র রাজনৈতিক বিরোধ সত্ত্বেও সুসংগঠিতভাবে টুর্নামেন্টটির আয়োজন করছে রাশিয়া। এর আগে মানবাধিকার সংস্থাগুলো সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিল, বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই টুর্নামেন্টটি ‘স্বৈরাচারী কায়দায়’ পরিচালনা করবেন পুতিন। হিউম্যান রাইট ওয়াচ বলেছিল, ‘সৌভিয়েত পরবর্তী আমলে রাশিয়ায় চরম মানবাধিকার সংকট চলছে।’
কিন্তু বিশ্বকাপের এই আয়োজন সেখানে উৎসব মুখর এক পরিবেশ বিরাজ করছে। অথচ ঐতিহ্যগতভাবে রাশিয়া রক্ষণশীল একটি দেশ। স্বাগতিক দলও অপ্রত্যাশিত সফলতার মাধ্যমে ওই পরিবেশকে আরও তাতিয়ে দিয়েছে।
ইনফান্তিনো বলেন, ‘রাশিয়া সত্যিকারের একটি ফুটবল জাতিতে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি মানুষের ও প্রত্যেক নাগরিকের দেহে ঢুকে গেছে ফুটবল নামক ভাইরাস।’ শতশত রাশিয়া ভ্রমণকারী বিদেশী বলছে, তারা রাশিয়াকে সহনশীল দেশ হিসেবে ভিন্নভাবে আবিস্কার করেছে।
আগত অতিথিদের উদ্দেশ্য করে পুতিন বলেন, ‘রাশিয়ার অনেক বাঁধা ধরা নিয়ম ভেঙ্গে পড়েছে।’ বৈঠকে জার্মান তারকা লোথার ম্যাথুজ এবং হল্যান্ডের তারকা মার্কো ফন বাস্তেনও ছিলেন।
রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘ভ্রমণকারীরা বুঝতে পেরেছে রাশিয়া হচ্ছে অতিথি পরায়ন এবং বন্ধুভাবাপন্ন দেশ।’ রাশিয়ানদের বর্ণবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টা নস্যাৎ করে দেওয়ারও পুতিনের প্রশংসা করেন ইনফান্তিনো।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহল রাশিয়াকে নিয়ে অনেক রকম ভয়-ভীতি দেখানোর চেষ্টা করেছিল। তবে সেটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে এবং এখানকার দৃশ্য সম্পূর্ণ এর বিপরীত।’ (সূত্রঃ বাসস)
কেআই/এসি